মঙ্গলবার, ১২ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৭শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সিনহা হত্যা মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করেছে র‍্যাব

ডেস্ক নিউজ : কক্সবাজারের টেকনাফে অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলার অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেছে র‍্যাব। কক্সবাজারের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আজ রোববার সকালে এ অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।

র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব) আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ আজ সকালে এনটিভি অনলাইনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আশিক বিল্লাহ জানান, আজ এ মামলার অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করা হয়েছে। অভিযোগপত্রে মোট ১৫ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি একজন পলাতক রয়েছেন।

এর আগে লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ জানিয়েছিলেন, র‍্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) অভিযোগপত্রে স্বাক্ষর করলেই সেটি আদালতে দাখিল করা হবে।

গত ৩১ জুলাই ঈদুল আজহার আগের রাত সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশ কর্মকর্তা লিয়াকত আলীর গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান।

এ ঘটনায় চার মাসের বেশি সময় ধরে চলা তদন্ত শেষে আলোচিত মামলাটির অভিযোগপত্র আজ দাখিল করেছে র‍্যাব।

এদিকে আজ রোববার অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলা বাতিল চেয়ে প্রধান আসামি বরখাস্ত পুলিশ কর্মকর্তা লিয়াকত আলীর পক্ষে করা রিভিশন আবেদনের ওপর শুনানির দিন রয়েছে। গত ৪ অক্টোবর এই রিভিশন আবেদনটি করা হয়। এরপর ২০ অক্টোবর সেটির ওপর শুনানির দিন ছিল। কিন্তু সেদিন মেজর সিনহার বোনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল ১০ নভেম্বর দিন ধার্য করেন। ১০ নভেম্বর আসামিপক্ষের আইনজীবী সময় প্রার্থনা করলে বিচারক ১৩ ডিসেম্বর (রোববার) দিন ধার্য করেন। সেই হিসেবে আজ এই রিভিশন আবেদনের শুনানি রয়েছে।

মেজর সিনহা হত্যার পর ৫ আগস্ট তাঁর বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে টেকনাফ থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশসহ নয়জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলায় প্রধান আসামি করা হয় বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক লিয়াকত আলীকে। ওসি (বরখাস্ত) প্রদীপ কুমার দাশকে করা হয় দুই নম্বর আসামি। মামলার তিন নম্বর আসামি করা হয় টেকনাফ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নন্দদুলাল রক্ষিতকে।

এরপর অভিযুক্ত সাত পুলিশ সদস্য আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। পরে তদন্তে নেমে র‍্যাব হত্যার ঘটনায় স্থানীয় তিনজন, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) তিন সদস্য এবং প্রদীপের দেহরক্ষীসহ মোট ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করে। এ ১৪ জনই বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।

কারাগারে থাকা অভিযুক্ত ১৪ জন হলেন—বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির তৎকালীন পরিদর্শক লিয়াকত আলী, টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, দেহরক্ষী রুবেল শর্মা, টেকনাফ থানার এসআই নন্দদুলাল রক্ষিত, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কামাল হোসেন, আব্দুল্লাহ আল মামুন, এএসআই লিটন মিয়া, এপিবিএনের এসআই মো. শাহজাহান, কনস্টেবল মো. রাজীব ও মো. আবদুল্লাহ, পুলিশের মামলার সাক্ষী টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের মারিশবুনিয়া গ্রামের নুরুল আমিন, মো. নিজামুদ্দিন ও আয়াজ উদ্দিন।

এই বিভাগের আরো খবর